আমাদের পাঠ্যক্রম
মাদ্রাসার একাডেমিক কর্মসূচির পর্যায়সমূহ
সম্পূর্ণ কর্মসূচি নিম্নলিখিত দুটি পর্যায়ে বিভক্ত
পর্যায় ১
তাহমেদী
বয়স ৪-৬
পর্যায় ২
ইবতেদায়ি
বয়স ৬-১১
প্রত্যেকটি পর্যায়ে মাদ্রাসা নিম্নলিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করার চেষ্টা করে
- প্রত্যেক শিক্ষার্থীর প্রতি ব্যক্তিগত মনোযোগ প্রদান করে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা।
- সুপরিকল্পিত শিক্ষাদান পদ্ধতির মাধ্যমে মজবুত ভিত্তি গঠন, পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত অগ্রগতির নিয়মিত মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা।
- শিশুদের সর্বোত্তম শিক্ষাগত ফলাফল নিশ্চিত করতে অভিভাবকদের সঙ্গে দৃঢ় অংশীদারিত্ব স্থাপন।
তাহমেদী পর্যায়
এই পর্যায়ে শিশুদের মাদ্রাসায় পূর্ণকালীন পড়াশোনার জন্য প্রস্তুত করা হয় এবং তাদের এমন জ্ঞান ও দক্ষতা প্রদান করা হয়, যা পরবর্তী পর্যায়ের জন্য মজবুত ভিত্তি গড়ে তোলে।
এই স্তরের লক্ষ্য হলো:
শিশুদের প্রাথমিক ইসলামিক আখলাক, শিষ্টাচার, আমল এবং ত্রিভাষিক শিক্ষার মৌলিক জ্ঞান প্রদান করা।
শিক্ষার্থীদের সাধারণ বিষয়সমূহে পাঠ্যপুস্তক পাঠ, শ্রবণ, কথোপকথন এবং লেখার দক্ষতা উন্নয়নের জন্য আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের নির্দেশিকা অনুসরণ করা হয় এবং বাংলার জন্য বোর্ডের পাঠ্যক্রম অনুসরণ করা হয়। কুরআন ও আরবি শিক্ষার জন্য আমরা মক্কা ও মদিনার ইসলামিক প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্দেশিকা অনুসরণ করি।
এই স্তরের শেষে, ইন শা আল্লাহ একজন শিক্ষার্থী:
- যথাযথ তাজবিদসহ কুরআন তিলাওয়াত করতে সক্ষম হবে।
- নির্বাচিত সূরা মুখস্থ করতে পারবে।
- নির্বাচিত আজকার মুখস্থ করতে পারবে।
- আদব, শিষ্টাচার ও আখলাকের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করবে এবং সেগুলো দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে।
- বাংলা, ইংরেজি এবং আরবি ভাষায় শব্দ ও ছোট বাক্য চিনতে, পড়তে ও লিখতে পারবে।
- গণিতের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করবে।
ইবতেদায়ি পর্যায়
এটি একটি পাঁচ বছরের কর্মসূচি। এই স্তরের লক্ষ্য হলো:
শিক্ষার্থীদের ঈমান, আকিদা, ইসলামিক আখলাক ও শিষ্টাচার বিষয়ে মৌলিক জ্ঞান প্রদান করা এবং সেই জ্ঞান দৈনন্দিন জীবনে বাস্তবায়নে সহায়তা করা।
শিক্ষার্থীদের আরবি ভাষায় পড়া, শোনা, কথা বলা এবং লেখার দক্ষতা উন্নয়ন করা।
শিক্ষার্থীদের সাধারণ বিষয়সমূহে পড়া, শোনা, কথা বলা এবং লেখার দক্ষতা উন্নয়ন করা।
এই স্তরের শেষে, ইন শা আল্লাহ একজন শিক্ষার্থী:
- আল-কুরআনুল কারীম থেকে ২৫তম থেকে ৩০তম পারা পর্যন্ত মোট ৬ পারা মুখস্থ করতে সক্ষম হবে।
- নির্বাচিত হাদিস মুখস্থ করতে পারবে।
- নির্বাচিত আজকার ও দোয়া মুখস্থ করতে পারবে এবং সেগুলো দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগ করতে সক্ষম হবে।
- রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সম্পূর্ণ সীরাহ অধ্যয়ন সম্পন্ন করবে।
- বাংলা, ইংরেজি এবং আরবি—এই তিন ভাষায় দক্ষতার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে।
- গণিত ও বিজ্ঞানের মৌলিক জ্ঞান অর্জন করবে।